বই কেনা আর নাস্তা করা

in voilk •  4 days ago

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



    6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1Qz4uqjMrw3uuwq9jZbqCqnfBNNAZj7Y2rGJiEmGQLdQFJGAmPe52CuoCzFxirpgmz1k6rtMwJ1cvmpnA.jpeg

    সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন৷ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার সাধারণ জীবনের কিছু গল্প শেয়ার করব। চলুন শুরু করি-

    একজন ছাত্রের জীবনটা অনেকের কাছে অনেক রকম মনে হতে পারে। কেউ মনে করে এটা সবচেয়ে সুখের জীবন। কেউ ভাবে এটা শুধু জীবনকে উপভোগ করার সময়৷ তবে বাস্তবে একজন ছাত্র জানে এটা কতটা কষ্ট আর ত্যাগের জীবন। চেয়ারে বসে থাকাটা যদি সুখের হতো তাহলে যিনি অসুস্থ বা বিছানায় শুধু শুয়ে থাকেন, সে সবচেয়ে সুখে থাকত। আসলে পড়াশুনা হলো ধৈর্যের বিষয়। যেটা সবাই পারে না। সবাই ধৈর্য ধরে চেয়ারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে পারে না। যার ফলে সফলতার দেখাও পায় না। যাই হোক আজকের বিষয়টা সেদিকে না। আজকাল একটু আমার জীবনের গল্প বলি।

    গত কয়েক দিন আগে, বিকালে বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম জয়দেব পুর বাজারে আমার কিছু বই কিনতে। বই বলতে, কিছু দিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষার জন্য আবেদন করেছি, তারই পরিক্ষা দেওয়ার জন্য একটা প্রশ্ন ব্যাংক কিনতে হবে। আসলে মেস থেকে বের হতে মন চায় না আমার। কিছু দিন অসুস্থ থাকার কারণে কোনো কিছুতেই মন নাই। বিকালে হঠাৎ বন্ধুকে কল দিয়ে বললাম বাজারে যাব বই কিনতে। এরপর দুইজন দেখা করে একটা অটোতে করে চলে গেলাম জয়দেবপুর বাজারে বই কেনার জন্য। অটে থেকে নেমে ভাড়া পরিশোধ করে চলে গেলাম একটা লাইব্রেরিতে বই কেনার জন্য৷ গিয়ে বইয়ের দাম জিগাতেই আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম।

    1000007356.jpg

    1000007355.jpg

    যে বইয়ের দাম ছিল ২০০/২৫০ টাকা সেটা এখন ৩৫০/৩৮০ টাকা দিয়ে কেনা লাগবে। ভাবা যায় বাজার কোথায়ও চলে গেছে। এখন যেন পড়াশুনা করাটায় বড় চ্যালেন্স। অনেক সময় দামাদামি করলাম কিন্তু কোনো কাজ হলো না। কি আর করার শেষ মেষ ওই দাম দিয়েই আমাকে বইটা কেনা হলো। বই কেনা শেষ করে আমরা চলে গেলাম একটা ফাস্টফুডের দোকানে। আমি জয়দেবপুর বাজারে আসলেই এখানে এসে কিছু একটা খায় তারপর রুমে যায়। আজকে আসছি না খেলে কেমন হয় না। তাই চলে গেলাম দোকানে। গিয়ে আমাদের দুইজনের জন্য দুইটা করে পুড়ি অডার দিলাম। এখানকার পুড়ির একটা বিশেষগুণ আছে।

    1000007360.jpg

    1000007361.jpg

    1000007363.jpg

    1000007365.jpg

    1000007367.jpg

    মানে বলতে চাচ্ছি ভালো লাগার কারণ, এর মধ্যে আলুও ডাউল দেওয়া থাকে। যার ফলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই বার বার এই দোকানেই চলে আসি। খাওয়া শেষ করে আমরা আমার কিছু মুড়ি মাখা নিলাম। তারপর বিলটা পরিশোধ করে আমাদের গন্তব্যের দিকে চলে আসলাম। এভাবেই খুব সাধারণ ভাবে আমার ছাত্র জীবনটা চলে যাচ্ছে। একটা খন্ড অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

    আশা করি গল্পটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে। আজকে এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন, পরিবারকে ভালো রাখুন৷

    সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

      Authors get paid when people like you upvote their post.
      If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE VOILK!