আমাদের এই সাবকন্টিনেটে বিশেষ করে বোধহয় বাংলাদেশে সলো ঘুরাঘুরির ব্যাপারটা এখনো অতটা জনপ্রিয় পায়নি বলেই কিনা জানিনা, আমি প্রচুর এই প্রশ্নের স্বীকার হই। একা কেনো ঘুরি? একা ঘোরাঘুরিতো মজা নাই, বোরিং? ইত্যাদি ইত্যাদি। তো এরই প্রেক্ষিতে আমি কিছু ঘটনা শেয়ার করি আমার সলো ট্রিপ গুলার। লাস্ট গেলাম ভিয়েতনামে, সেখানের কথাই বলি!
Phu Ouoc দ্বীপে গেলাম স্কুবা ডাইভিং, স্নোরকেলিংয়ের ইচ্ছে নিয়ে। এর আগে কখনো করায় হয়নি সেসব, খুবই এক্সাইটেড ছিলাম তা নিয়ে।
আইল্যান্ড হপিং, স্নোরকেলিং, মাছ ধরা, সৈকতে লাফালাফি... সারাদিন এইরকম ব্যস্ত একটা সময়ে লুইক্ক (একজন ফ্রেঞ্চ ভদরলোক) আমাকে খুঁজে নেয় ভীড়ের মাঝে, কথা বলে।
অসাধারণ কিছু ছবি তুলে দেয়, ভিডিও করে দেয় সমুদ্রে পানির নীচে। ভরদুপুরে নিঝুম দ্বীপের ছাতার নীচে বসে Margarita পানের আহ্বান জানায়।
গাল্ফ আইল্যান্ডে প্যারাগ্লাইডিং করে আমার মত গরীবের পয়সা নষ্ট করা উচিৎ হবে কিনা ভাবলে সে আমাকে YOLO নিয়ে উপদেশ দেয়! দরকার হলে সে নিজেই সে খরচ দিতে চায়।
আমরা সারাদিন প্রচুর হেসেছি, এত হেসেছি যে আমার চাপা ব্যথা করতেসিলো 😆
আমি শেষে বললাম : Monsieur Loïc, pourquoi? Why are you being so overwhelmingly nice to me?
সে বলে: Because I loving it how you laugh and I want to contribute more and more! Keep laughing, that's my payment!
আমি কপট বিরক্তি টেনে বললাম: Arrgghhh! You French men and your sweet words! 😏 Not falling for that!
সে খুব আহত স্বরে বললো, না না আমি সেইসব ফ্রেঞ্চম্যানের মত না 🥲
আসলেই সে ছিলোনা 💜
![1000017608.jpg](https://files.peakd.com/file/peakd-hive/fahmidamou/EogRjLGwbZFxz8DEiFEmHAWMbtSa9pCQZHBopsJTgroFWkMzFoHBkXdVRF6oMi9QGem.jpg)
আরেকটা বলি,
সারাদিন সাপা (Sa Pa, Hanoi) সারাদিন ঘুরে স্বাভাবিকভাবেই ফোনের চার্জ নিয়ে টানাটানি। তাড়াহুড়ায় ফোন রেখেই বাসে উঠে পড়েছি। অনেকের সাথে মাঝবয়েসী এক জার্মান জুটিও ছিলো। জুতা খুলে বাসে উঠে উবু হয়ে জুতা নিতে যেয়ে দেখি হাত যায়না!
The gentleman: Let me get the shoes for you!
Me: Aaaaa...please, no, thank you!
I almost panicked out of embarrassment that an elderly person will touch my shoes! The lady giggled heartily with my reaction and said
: It’s alright, young lady! Let him, I understand how you feel!
Without mentioning any prior context, we both laughed together. And yet, though men, who demand to be incompressible about women's wit, the gentleman laughed and picked my shoes and gave it to me!
এরপর সীটের কাছাকাছি পৌঁছাতেই মনে পড়লো ফোন কাছে নাই! আবার দৌড়ে দরজার কাছে যেয়ে হড়বড় ইংরিজিতে ড্রাইভারকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমার একজোড়া স্লিপার লাগবে বাইরে পরার, জুতা পরার ঝামেলা করা সম্ভব না, ফোন আনতে যেতে হবে! সে অবশ্যই বুঝলোনা কিছুই, কিন্তু জার্মান ভদ্রমহিলা কেবল জুতা খুলতে যাচ্ছিলেন, উনি বললেন "আমি যেহেতু নীচেই আছি আমি যাচ্ছি!" আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলেন স্টেশনরুমের দিকে এবং খানিক বাদে ফোন, চার্জার নিয়ে উদয় হলেন!
All the contents are mine until mentioned otherwise.