গ্রাম ছেড়ে যখন শহরে পারি দেয়া হয় তখন বছরে হাতে গুনা ১ থেকে ২ বারই বাড়িতে যাওয়া হয় তাও মাত্র বছরের ২ ঈদ এর দিন। আর সত্যি বলতে এই ২ ঈদ ছাড়া গ্রামে গিয়েও কোনো শান্তি পাওয়া যায়না। গ্রামে যাওয়ার আসল মানেই হচ্ছে গ্রামের দ বন্ধুবান্ধব , আত্মীয়দের সাথে সময় কাটানো। সবাই যেহেতু নিজেদের কর্ম ক্ষেত্রে শহরে পারি জমায় তারাও ঠিক বছরের সেই ২ ঈদেই পারি জমায় গ্রামে। তাই সত্যি বলতে চাইলেও ২ ঈদ ছাড়া গ্রামে যেতে ইচ্ছা করে না। সেখানে গিয়ে আরো অলসতা অলসতা চলে আসে যদি আড্ডা মারার মতো কাউকে না পাওয়া যায়।
এইবার বেশ ভালো ছুটি পেয়েছিলাম আমরা। তাই ঈদ কাটানোর জন্য রওয়ানা হয়েছিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। তা প্রায় ১০ মাস পর গ্রামের বাড়িতে পা রাখলাম। সব কিছুই অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সত্যি বলতে গ্রাম গুলো আস্তে আস্তে শহরে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ বছর পর গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না , গ্রাম ও হয়ে যাবে শহর এর মতো। যেটা কিনা সত্যিই দুঃখ জনক। যদিও গ্রাম বাসীদের ডিজিটাল দুনিয়ার সব কিছু ভোগ করার অধিকার আছে তবে সেই গ্রাম আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনি যতই উন্নত দেশে থাকেন গ্রামের শান্তিকে অন্য কোনো কিছু দিয়ে তুলনা করতে পারবেন না। কৃত্তিম সুন্দর্য আর প্রাকৃতিক সুন্দর্যের মাঝে বিশাল বড় তফাৎ রয়েছে।
এইবার গ্রামে যাওয়ার পর ভয়ে ছিলাম যে বৃষ্টি না শুরু হয়ে যায় ঈদ এর দিন। কেননা গত কয়েক বছর ধরে এমন বৃষ্টি থাকার কারণে ঈদ গা মাঠে গিয়ে নামাজ পড়তে পারছিলাম না। পাড়ার মসজিদ এ গিয়ে নামাজ পড়তে হতো ,তবে এই ঈদে বৃষ্টি ছিল না বিধায় সবাই একসাথে হেটে হেটে ঈদ গা মাঠে গিয়ে নামাজ পড়েছিলাম যেটা কিনা সব থেকে আনন্দের সময় ঈদ এর দিনের। যদি ঈদ গাতে দিয়ে নামাজ আদায় না করতে পারি তাহলে ঈদ কে ঈদই মনে হয়না। সকলে একসাথে একত্রে বসে নামাজ আদায় করা এবং সবার সাথে দেখা হওয়া এইটাই তো ঈদ আমাদের জন্য। এর থেকে বড় শান্তি আর কোথায় পাওয়া যাবে।
এইবারের ঈদ অনেক ভালো কেটেছে। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া এতো সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্য। সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে পুরোনো সকলের সাথে দেখা হয়।