চলেন আরাফাতের ময়দান এবং তায়েফ শহর ঘুরে দেখে আসি |

in voilk •  2 months ago

    image.png

    আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি | আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি প্রতিদিনের মতন | মক্কা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দান আকারে বিশাল প্রায় দুই কিলোমিটার হবে | তিন দিকে পাহাড় মাঠ হচ্ছে সমতলভূমি, কেয়ামতের দিন এ আরাফাতের ময়দান থেকেই বিচার শুরু হবে | ভাবলেই যেন আমার হয়ে চুপ হয়ে যাচ্ছিলাম বারবার নিজের চোখ দিয়ে দেখতেছি আরাফাতের ময়দান | বারবার মনে পড়ছিল এখান থেকেই বিচার হবে আমার আমাদের সকল মানুষের এই অনুভূতিটা বলে বোঝানোর মত নয় | আল্লাহ তাআলা একবার হলেও সবাইকে তৌফিক দান করুক আরাফাতের ময়দান দেখার এবং ওমরা হজ পালন করার | বিশাল এই আরাফাতের ময়দানে মাঝখানে একটা রহমতের পাহাড় আছে এই পাহাড়টার নাম হচ্ছে জাবালে রহমত মানে পাহাড় | এই পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় | হযরত আদম আলাইহি সাল্লাম এবং মা হাওয়া এখানে মিলিত হয়েছিলেন দুনিয়াতে যখন প্রথম এসেছিলেন তারা | আরাফাতের ময়দানে অনেকগুলো রাস্তা আছে যাওয়ার এবং পায়ে হাটা রাস্তাটা আলাদা করে দেওয়া | তারপরও আমরা কেন জানি যা বলে পাহাড়ের কাজ পর্যন্ত যেতে পারিনি আমার মনে একটা দুঃখ রয়ে গেল রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না প্রায় এক ঘন্টার মত আমরা রাতটা খুঁজেছি পাচ্ছিলাম না | আমরা এমন একটা সময় গিয়েছি বড় হজের জন্য প্রস্তুতি চলতেছে এজন্য জায়গায় জায়গায় রাস্তা বন্ধ ছিল হয়তোবা এজন্য নাও পাইতে পারি | মনে একটা আক্ষেপ হয়ে গেল আরাফাতের ময়দানে গিয়েছি কিন্তু পাহাড়ের কাজ পর্যন্ত যাইতে পারলাম না | পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমি দোয়া পড়েছি কাছ থেকে পাহাড়ের উপর উঠে দোয়া পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল সেটা হলো না | তাতে কি হয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে আবার যখন যাব তখন আল্লাহ যেন আমার এই মনের আসাটাও পূরণ করে দেয় |আরাফাতের ময়দান থেকে দোয়া করে আমরা তায়েফের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গিয়েছিলাম তায়েফে যাওয়ার সময় আমরা পাহাড়ের উপর থেকে যাই পাহাড়ের উপর দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম হাতের নাগালে ছিল আকাশ কিন্তু গাড়ির জানালাটা খুলে আমি আকাশ ধরতে পারিনি কারণ রাস্তায় অনেক নিষেধাজ্ঞা ছিল এ কারণে | পাহাড়ের উপর দিয়ে যে গাড়িগুলো চলে গতিবিধি নির্ধারণ করা রাস্তায় কেউ দাঁড়াতে পারবে না এরকম নির্দেশনা দেওয়া এজন্যই হয়নি আকাশকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি অনুভূতিটা অনেক ভাল ছিল | আমরা মূলত এহরাম বাধার জন্য তায়েফে গিয়েছিলাম তায়েফ থেকে এহরাম বেঁধে এসে আমরা আবারও ওমরা হজ পালন করেছি | আমরা তায়েফে যাওয়ার পথে আমাদের ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছিল তখন আমরা কিছু ফল কিনি সেই ফলের দোকানে যে লোকগুলো ছিল সবাই বাঙ্গালী ছিল | বিভিন্ন এলাকা থেকে গিয়েছে | অনেকদিন পর বাঙালি দেখেছি ভালো লাগতেছিল আসলে দেশের বাইরে গেলে নিজের ভাষা জানে এরকম একটা লোক দেখলে অনেক ভালো লাগে | কারণ সৌদিয়ানরা, ইংলিশও বুঝেনা হিন্দি ও বুঝেনা বাংলাতে প্রশ্নই আসে না | ওরা শুধু আরবীতে কথা বলে তাই দেশী লোক পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে আমি বেশ কিছুক্ষণ ওদের সাথে কথা বলেছিলাম |


    বন্ধুরা, আমি আশা করব আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে| যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতটি আমার কমেন্ট বক্সে জানাইতে ভুলবেন না | আমার ব্লগ গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে | আমি আমার ভালো লাগা থেকে ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করি আমার ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন | আপনারা আমার পাশে থাকলে আমার সামনের পথ চলে আরো সহজ হয়ে যাবে আপনাদের মাধ্যমে তাই আমি চাইবো আপনারা সব সময় আমার পাশে থাকবেন আপনার আমার পাশে থাকবেন এটাই আমার কাম্য | অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন | শরবত এবং পানি স্যালাইন এগুলা ওষুধ মনে করে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে তাই এগুলোকে আমরা ফেলনা না মনে করে প্রয়োজনীয়তা মনে করে বিশেষ করে ওষুধ মনে করে নিয়মিত খাব তাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো | তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন লেবুর শরবত যেকোনো শরবত স্যালাইন আপনাকে খেতেই হবে | আমরা চেষ্টা করব নিজে সুস্থ থাকতে এবং অন্য মানুষ যেন সুস্থ থাকে ভালো থাকে আমাদের যা তারা যেন ক্ষতি না হয় সে চেষ্টাই করবো এই প্রত্যাশায় আজ আসে আবার দেখা হবে আল্লাহ হাফেজ |

      Authors get paid when people like you upvote their post.
      If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE VOILK!