বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন চারটি (মেসপটেমিয়া, মিশরীয়, সিন্ধু, চৈনিক) সভ্যতার একটি চৈনিক বা চীনা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে এশিয়ার দক্ষিণে হোয়াংহো নদীকে কেন্দ্র করে। চীনা ইতিহাসের লিখিত দলিলপত্র পাওয়া যায় ১৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শাং সম্রাজ্যের সময় থেকে। চীনে সম্রাজ্য ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা শুরু হয় এ সময় থেকেই। তারপর একে একে ঝাউ সম্রাজ্য, কিন সম্রাজ্য, হান সম্রাজ্য, সঙ সম্রাজ্য, উয়ান সম্রাজ্য, মিং সম্রাজ্য এবং সর্বশেষ কিং সম্রাজ্য, যা ১৯১১ সাল পর্যন্ত চীন শাসন করেছিল।
সান ইয়াৎ সেনের নেতৃত্বে প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ১৯১২ সালে রিপাবলিক অব চায়না বা প্রজাতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে প্রজাতান্ত্রিক চীন বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনি রাজনৈতিক দল গুলোর আন্তঃ কোন্দলের কারণে। মাও সে তুং ১৯৪৯ সালে বিপ্লব ও গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে তৎকালীন রিপাবলিকান নেতা চিয়াং কাই শেক'কে ক্ষমতাচ্যুত করে People's Republic of China (গগণপ্রজাতন্ত্রী চীন) অর্থাৎ গণচীন প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবেই মাও এর হাত ধরে যাত্রা হয় আধুনিক চীনের।
মাও সে তুং এর শাসনামল থেকে পশ্চিমাদের টক্কর দিয়ে বিশ্বে পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চীনের যেই চেষ্টা শুরু হয়েছিলো তা এখন অব্দি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর নেতৃত্বে অব্যাহত আছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কে চীনের নবজাগরণের অন্যতম নেতা বলা হয়। শি জিনপিং নিজ দেশের কৃষকদের কাছে যতটা জনপ্রিয় এবং বন্ধুপ্রতিম, ঠিক তেমনি চীনের ঐতিহ্যবাহী গ্রেট হলে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতেও ঠিক ততটাই আত্মাপ্রত্যয়ী, প্রশান্তমনা ও অবিচল এই রাষ্টনায়ক।
এশিয়ার দেশ চীন বিশ্বে উদীয়মান পরাশক্তিতে সবার উপরে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট শি'র বিচক্ষণতায়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতি, সমরাস্ত্র ও প্রযুক্তিগতভাবে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পশ্চিমাদের পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ হিসাবে চীনের অবস্থান দৃঢ় করা।