দুর্দান্ত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যকার তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বেশ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের সফর এসেছে শ্রীলংকা দল। মূলত তিনটি টি টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার উদ্দেশ্যেই দলটির আগমন। ইতিমধ্যেই সমাপ্তি ঘটেছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের। যেখানে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল সফরকারি শ্রীলঙ্কা দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে কাম ব্যাক করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অলিখিত ফাইনালে দুর্দান্ত জয় নিয়ে সিরিজটা নিজেদের করে নেয় শ্রীলঙ্কা দল।
বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেই বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু এই ম্যাচে বোলিংয়ে নিজেদের পরিকল্পনাকে কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে ২০৬ রানের পাহাড়সম রানের টার্গেট দাড় করেছিলো শ্রীলঙ্কা দল।
জবাবে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজেভাবে৷ কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২৬ বলে অসাধারণ পঞ্চাশের পর এই ম্যাচে অবিশেষ হওয়া জাকের আলী দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলো। কিন্তু শেষ শেষ পর্যন্ত মাত্র তিন রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। জাকের আলীর তার অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড গরে।
প্রথম ম্যাচে হারের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অসাধারণভাবে কামব্যাক করে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। একই মাঠে অনুষ্ঠিত ২য় ম্যাচে শুরুতে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ভালো পারফরমেন্স করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং এ লিটন কুমার দাস এবং সৌম্য সরকারের ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপের পর ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্তর অর্ধশতক এবং তৌহিদ হৃদয়ের ৩৮ রানে সহজেই জয় পায় বাংলাদেশ। আট উইকেট এর ব্যবধানে জয় পেয়ে সিরিযে ১-১ এ সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা।
সর্বশেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচে অললিখিত ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো টসে জয় লাভ করে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত। বাংলাদেশ তাদের বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করলেও ব্যর্থ হয় শেষটা রাঙ্গাতে। ফলে ১৭৫ রানের ভালো টার্গেট দাড় করায় শ্রীলংকানরা। লংকানদের দেওয়া ১৭৬ রানের জবাবে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় পড়ে বাংলাদেশ। নুয়ান থুসারারা অবিশ্বাস্য হ্যাট্রিকের ৩২ রানেই প্রথম ছয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু দলের এমন বিপর্যয় থেকে অনেকটা অবিশ্বাস্যভাবেই সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় স্পিনার রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ। রেকর্ড সাত ছয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। অপরদিকে ২১ বলে ৩১ রানের একটি ভালো ইনিংস উপহার দেয় তাসকিন আহমেদ। ফলে বাংলাদেশ জয় না পেলেও রক্ষা পায় লজ্জাজনক হার থেকে। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয় সফরকারী শ্রীলঙ্কা দল।
![1000016456.jpg](https://images.hive.blog/DQmeyXci2h2Yx48zMviHsZeqXjMr6KqTrdzEpKfAjJTcPgo/1000016456.jpg)
SRI-LANKA CRICKET